রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিল নির্বাচন ২০ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এই তিনটি পদে কাউন্সিলদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। এ উপলক্ষে জেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচনী পরিচালনা কমিটি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) জেলা বিএনপির নেতা ও রিটানিং কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম হায়দার রামগঞ্জ জিয়া অডিটোরিয়ামে এ তিনটি পদপ্রত্যাশী প্রার্থীদের মধ্যে মনোয়নপত্র বিতরণ করেন। একই দিনে মনোয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই ও প্রতীক বরাদ্ধ দিয়ে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সুত্রে জানা যায়, চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী উপজেলা থেকে সভাপতি পদে ২ জন সাধারণ সম্পাদক পদে ২জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪ জন এবং পৌরসভায় থেকে সভাপতি পদে ৩ জন, সাধারন সম্পাদক পদে ৩ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৫ জন প্রার্থী।
উপজেলায় প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোজাম্মেল হক মজু (ছাতা),সাবেক উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাহাবুদ্দিন তুর্কি(চেয়ার), সাধারন সম্পাদক পদে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক মনোয়ার হোসেন জিএস(মোরগ), সাবেক সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম ভিপি(দেওয়াল ঘড়ি), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আবুল বাশার সতু (মাছ) , নজরুল ইসলাম পিন্টু(ফুটবল), সাবেক উপজেলা বিএনপির সদস্য মহিবুর রহমান পাটোয়ারী (টিউবওয়েল), রামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস আমজাদ হোসেন(আম)।
পৌরসভায় প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে পৌর বিএনপির আহবায়ক শেখ মোহাম্মদ কারুজ্জামান(ছাতা), রামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল(চেয়ার), পৌর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন বাচ্ছু(আনারস)। সাধারন সম্পাদক পদে পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক তোফায়েল আহম্মদ(দেওয়াল ঘড়ি), পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন মিয়া (মোরগ), পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন পলাশ (দোয়াত কলম)ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আওরঙ্গজেব বাবলু(ফুটবল), মোঃ রেজাউল করিম (আম), ইকবাল চৌধুরী (মাছ), মিজানুর রহমান মিরন(টিউবওয়েল), ওয়াবেদ উল্যাহ(মই)।
নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ভোটের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। প্রার্থীরা দিনরাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হাট বাজার দোকানপাট ওলি গলিতে পোষ্টার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। স্ব স্ব প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীরা মিছিল করতে দেখা যায়। এর আগে বিগত ৩ মাসে উপজেলা ও পৌরসভা ৯৯টি ওয়ার্ড ও ১০টি ইউনিয়ন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সব কয়টি নির্বাচন সুষ্ঠ, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্নভাবে হয়েছে। নেতাকর্মীরা আশা করছেন জেলা বিএনপির দিক নির্দেশনায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি উপজেলা ও পৌর নির্বাচনকে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাচনে ১০ ইউনিয়নের ৭১ সদস্য কমিটির মোট ৭১০জন ভোটার ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৭১ সদস্য কমিটির ৬৩৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।