মানুষের জীবনের প্রকৃত সার্থকতা কীসে? এই প্রশ্নটি যুগে যুগে নানা চিন্তাবিদ ও সাধকের চিন্তার বিষয় হয়ে এসেছে। কেউ জীবনের সফলতা খুঁজেছেন বিত্ত-বৈভব, কেউ বা খ্যাতি-মান্যতার মধ্যে। আবার কেউ মেনে নিয়েছেন, সুখ-সফলতা কেবল আত্মিক প্রশান্তি ও পরকালীন মুক্তির মধ্যেই নিহিত। একজন মুমিনের জন্য জীবনের সর্বোচ্চ সফলতা হলো আল্লাহর প্রিয় বান্দা হয়ে ওঠা। কেননা যে আল্লাহর কাছে প্রিয়, তার দুনিয়াও কল্যাণময় হয়, আখেরাতও সাফল্যমণ্ডিত হয়।
আল্লাহর ভালোবাসা এমন এক অনুপম নেয়ামত, যা লাভ করলে আর কিছুই অপূর্ণ থাকে না। হাদিসে এসেছে, আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিবরাইল (আ.)-কে ডাকেন এবং বলেন, ‘আমি অমুককে ভালোবাসি, তুমিও তাকে ভালোবাসো।’ এরপর আসমানবাসী ও জমিনবাসীর হৃদয়ে ওই বান্দার প্রতি ভালোবাসা সঞ্চারিত হয়। অতএব আল্লাহর প্রিয় বান্দা হয়ে ওঠা মানে শুধু পরকালের মুক্তিই নয়, এ দুনিয়াতেও মানুষের ভালোবাসা, প্রশান্তি ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন লাভ করা। প্রশ্ন হলো, কীভাবে একজন সাধারণ মুমিন বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে উঠতে পারে?
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে আমাদের যেসব কাজ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে পালন করা এবং যেসব কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছে সেগুলো থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর প্রিয়ত্ব অর্জন করতে পারে। সেসব আদেশ-নিষেধ শুধু আখলাক বা চারিত্রিক সৌন্দর্যের পরিচায়ক নয়, বরং সেগুলোর প্রতিটি আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক গভীরতর করে, তার অন্তরকে পবিত্র করে এবং সমাজে সে একজন উপকারী, নেক ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠে। আর পরকালে তাদের জন্য থাকে সবচেয়ে বড় সফলতা। তা হলো জান্নাতে প্রবেশ করা। মহান আল্লাহ আমাদের তার নির্দেশ যথাযথভাবে মেনে তার প্রিয় হওয়ার তওফিক দিন এবং পরকালের কঠিন দিনে জান্নাত নসিব করুন। আমিন।
লেখা : বেলায়েত লিটন